
আমি নারী কভু বোন কখনো জননী
কখনও কন্যা আবার কখনো সজনী।
আমিই আমার রক্ত ঝরিয়ে আমার গর্ভে ধরে
এনেছি মানুষ মানুষে মানুষে বিশ্ব দিয়েছি ভরে।
দুনিয়াতে আজ এত এত মানুষ মানুষের জয়গান
সবকিছু আমার প্রসবকালীন রক্ত ব্যথার দান।
আমি জননী আমার পরম স্নেহ-মমতা মায়ায়
যুগ যুগ ধরে নিখিল বিশ্ব আগলে রেখেছি ছায়ায়।
আমি নারী চির অম্লান চির সুন্দর
অঙ্গ ভরিয়া এনেছি আমার রূপ রস মনোহর।
আমি আমার বুকে ধরিয়া এনেছি প্রেমের মধু
প্রেম মমতায় রাঙিয়েছি ভূবন হয়েছি লক্ষী বধু।
আমিই স্বামীর দেহের ঘাম প্রেমের আঁচলে মুছে
ক্লান্ত দেহ সচল করে দুঃখ কে দেই গুছে।
আমি নিরবে নিভৃতে শত যাতনায় পুড়ে হই অঙ্গার
নিজেরে পুড়িয়ে আলোকিত করি সকলের সংসার।
কুড়ে ঘর থেকে রাজ্য চালানো জীবনের যত খাত
বলতে পারো কোন কানে নেই আমি রমনীর হাত।
দুনিয়ার যত মহাজ্ঞানী গুণী পাপীতাপী নির্বোধ
সবার শরীরে আমার রক্ত উদরে আমার দুধ।
এই জীবন সংসার সমাজ সভ্যতা আলো হাসি আর গান
খুঁজে দেখো, সবখানে পাবে আমি রমণীর দান।
সেই আমি যদি মেয়ে শিশু হয়ে আসি তোমাদের ঘরে
জবাব দেবে ,কেন তোমাদের মন উঠে না ভরে।
মেয়ে শিশু দেখে কেন তোমাদের ফুলে ওঠে দুই গাল
কোন কারণে মেয়ে শিশুদের মনে কর জঞ্জাল?
নারীবিদ্বেষী পাপীষ্ঠ তুমি জগতের অভিশাপ
কোমলমতি শিশুর গায়ে মাখাও তোমার পাপ।
ওহে নারী বিদ্বেষী তুমি নারীর সেবা পাইতে পারো না ভবে
নারী জননীর দুধটুকু আজ ফেরত দিতে হবে।
নারী-শিশুকে সইতে পারো না করে না তোমার লজ্জা
সেই সে নারীর প্রেম সুধা পানে সাজাতে ফুলের শয্যা।
আমার ইচ্ছায় মেয়ে হইনি আমি করেছে আমার প্রভু
সবকিছু জেনেও মেয়ে শিশুকে কেন তুচ্ছ করিছ তবু।।।
0 Comments